হত্যার হুমকি : পিছনে যে বা যারা।
গত ৩০.৬.২০১৭ তারিখে আব্দুর রাজজাক হানাফী এই অফিসিয়াল ফেসবুক পেইজের পোস্টে হত্যার হুমকি দিয় এক আলেম নামক সন্ত্রাসী। ইতোমধ্যেই বহুবার প্রমানিত হয়েছে কওমির অনেক ছাত্ররাই জঙ্গিবাদের সাথে জড়িত। মূলত সামান্য কিছু নির্ধারিত জ্ঞান থাকা এবং বাহ্যিক বিচার বিশ্লেষণ না থাকার ফলেই এই সমস্যা।
প্রথমত যে ছেলেটি হত্যার হুমকি দিয়েছে সে রাজধানীর মিরপুরে অবস্থিত আরজাবাদ মাদ্রাসার ইফতা বিভাগের ছাত্র। বাড়ি শেরপুর। হানাফীর এলাকায় থাকার সুবাদে তার আচরণ সম্পর্কে সম্মুখ ধারণা পাওয়া যায়। ছেলেটি প্রথম থেকেই উগ্র ধরনের এবং চরিত্রে সমস্যা যেটি অল্প কিছু দিনের সকলের চোখে ধরা পরে। বিষয়টি বেশি জানাজানি না হয় এমন চাওয়াতে এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যায়। বর্তমানে সে পলাতক। তার উগ্র মতাদর্শ জিহাদী কথা বার্তা প্রথম থেকেই এ বিষয়ে সকলকে সতর্ক করে আসছেন হানাফী। হুমকি দাতা ছেলেটির নাম মোজাম্মেল হক (২২) ডাক না রুমান। মোজাম্মেল এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার পর হানাফী তার সম্পর্কে সকলকে বিস্তারিত বর্ণনা ও সতর্ক করে। এতে হয়তোবা রাগান্বিত হয়েই হানাফীকে হত্যার হুমকি দিয়েছে।
এখন প্রশ্ন হলো হানাফী থাকেন মানিকগঞ্জে আর মোজাম্মেল থাকে ঢাকা বা শেরপুর, সেখান থেকে এখানে এসে তার এই কাজটি করা সম্ভব নয়। আর একজন সাধারণ ব্যক্তি কখনই এভাবে হুমকি দিতে পারে না কোন শক্তি ছাড়া। এতে করে স্পষ্টই বোঝা যায় কোন নিষিদ্ধ জঙ্গি গোষ্ঠীর সাথে মোজাম্মেলের সম্পর্ক থাকতে পারে।
২। হানাফী একজন সুন্নি। যেহেতু মোজাম্মেল সালাফী মতাদর্শে বিশ্বাসী তাই তাকে হত্যা করার পরিকল্পনা থাকতে পারে। যেমনটি এর আগে আল্লামা নরুল ইসলাম ফারুফীকে হত্যা করা হয়েছে। আল্লামা শাহ আলম নঈমিকে নামাজরত অবস্থায় ছুড়িকাঘাত করা হয়েছে।
৩। তার কথা বার্তা শুনে মনে হয় যেন নব্য জেএমবি। যেহেতু হানাফী সবসময় জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে বলেন তাই তাকে হত্যার পরিকল্পনা করতে পারে।
অতএব, এই মোজাম্মেলকে অনতিবিলম্বে গ্রেফতার করে শাস্তির আওতায় আনা হোক।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন